রাতের ঢাকা’র গল্প – হিফজুর রহমান

১৯৯২ সালের প্রায় শেষভাগ। শীত পড়তে শুরু হয়নি তখন। একেবারে নিশুতি ভোর, প্রায় তিনটা বাজে। রাস্তায় কোন লোকজন নেই, কয়েকটা কুকুর ছাড়া। এরই মধ্যে আমাদের দুটো বেবি ট্যাক্সি (তখন সিএনজি ছিলনা) আর আমার ভেসপা সহ পুরো বাহিনী থামলাম, খিলগাঁওর একটা সিরামিক ইঁটের তৈরী চার তলা বাড়ির সামনে। বাইরে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, এক ইউনিটের বেশ পশ বাড়ি একটা। ওই এলাকায় তখন এবং এখনও বেশ সুন্দর কিছু বাড়ি ছিল এবং আছে। রনির দেখানো ঠিকানা অনুযায়িই থামলাম আমরা। আশপাশের কোনও বাড়িতে কোনও বাতি জ্বলছে বলে মনে হলনা আমাদের। শুধু এই বাড়িটারই কোন এক তলায় বাতি জ্বলছে, মনে হয় সব ক’টাই। আমরা (আমি, ফজলুল বারী, জাহিদ নেওয়াজ, জুলফিকার মানিক, শাকুর মজিদ, আরো কে কে ছিল মনে নেই) বাড়িটির কোলাপসিবল গেটের সামনে গিয়ে রনিকে জিজ্ঞেস করলাম, ওদের বাসার কল বেল কোনটা। রনির দেখানো সুইচটা চেপে ধরল, ফজলুল বারী। ওপর থেকে এক পুরুষের কন্ঠ ভেসে এল, কে?
ফজলুল বারী এবং আমরা প্রায় সবাই সমস্বরে বলে উঠলাম, দরজা খুলুন, আমরা সাংবাদিক। রনিকে নিয়ে এসেছি। সঙ্গে সঙ্গেই কান্না ভেজা কন্ঠ নারী কন্ঠ ভেসে এল, ‘রনি বাবা, রনি বাবা!’ উনি ধুপধাপ করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলেন, উর্ধশ্বাসে। ভয় পেলাম, পড়ে না যান উনি। বুঝলাম, রনির মা উনি। বারী, শাকুর মজিদ চিৎকার করে উঠল, ‘খালাম্মা, সাবধানে নামেন। রনি আমাদের সাথেই আছে, একদম নিরাপদে।’ এরই মধ্যে শাকুর ওর নিত্যসঙ্গী ক্যামেরাটা বের করে নিল ব্যাগ থেকে। বারীর তাড়ায় রনিও তারস্বরে চিৎকার করে উঠল, ‘আম্মু, আমি এসেছি। তুমি সাবধানে আসো।’

বাড়ি পালিয়ে থাকা রনিকে নিয়ে যখন আমরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হই। ছবিতে ফজলুল বারী, শহীদুল আজম, রনি ও তাঁর মা।

কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কোলাপসিবল গেটের ওপারে ভিড় জমে গেল। সামনে এক নারী, পরে জানলাম, রনির মা। গেট খুলতে যা দেরি, উনি জড়িয়ে ধরলেন আমাদের পাশেই থাকা রনিকে, আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন আর রনির মাথায় স্নেহের  পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন। এরই মধ্যে চালু শাকুরের ক্যামেরা। পেছনেই এক ভদ্রলোক। পরিচয় জানালেন যে, উনি রনির বাবা। কেউ যেন কোনও নিয়ন্ত্রণে নেই। এরই মধ্যে আমরা পরিচয় জানালাম, আমরা দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সাংবাদিক। আসরা রনিকে পেয়ে নিয়ে এসেছি। তখন আরেক ভদ্রলোক বলে উঠলেন, চলুন, চলুন, ওপরে চলুন। ওখানে কথা হবে। রনির বাবাও তখন অঝোরে কাঁদছেন।
আমরা ওপরে উঠলাম সদলবলে। রনির পরিবারের পেছন পেছন চললাম আমরা। শুধু শাকুর মজিদ সবাইকে ডিঙিয়ে চলে গেল সবার সামনে, ছবি তোলার সুযোগ হারাতে চাইছিলনা সে। ওর ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক চলছেই নিরন্তর।
রনিদের ড্রয়িং রুমে ঢুকে কেউ মেঝেতে, কেউ সোফায় বসে পড়লাম। রনির মা এবং বাবা কাশেম সাহেব সেন্টার টেবিলে মাথা রেখে অঝোরে কাঁদছেন। বেশ ক’দিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে তাঁরা একেবারে উদ্বেলিত হয়ে পড়েছেন। আমাদের সান্তনাতে কাশেম সাহেব শুধুই বলছিলেন, ‘সব আমার দোষ, আমার দোষ।’ এর মধ্যে রনির কোনও আত্মীয়-স্বজন আমাদের জন্যে মিষ্টি এবং আরও সব খাবার আনলেন। ইচ্ছে ছিলনা, তবুও সবাই একটু আধটু খেলাম। এরই মধ্যে জানলাম কাশেম সাহেব একটি বহুজাতিক কোম্পানী বিএএসএফ এর ডিরেক্টর, ফিন্যান্স, বিশাল চাকুরী। সবাই বিদায় নিলাম।
এরপর চলুন রনির গল্পে।

পূর্ব কথন….

ওই ঘটনারই কয়েকদিন বা তিনদিন আগের কথা। বাংলাবাজার পত্রিকার রাতের পালায় ধুন্ধুমার কাজ চলছে। আগেই কোথাও বলেছিলাম এবং যাঁরা পত্রিকায় কাজ করেন, তাঁরা জানেন রাতের পালায় দম নেয়ারও অবকাশ থাকেনা। হঠাৎই কয়েকজন উজ্জ্বল তরুন এসে ঢুকল আমাদের বার্তা কক্ষে। দুজনের নাম মনে আছে। একজন আশরাফ কায়সার এবং আরেকজন আসিফ নজরুল (বর্তমানে বিখ্যাত শিক্ষক ও কলামিস্ট। আশরাফ কায়সারও বোধহয় একটি বিদেশি বিজ্ঞাপনী সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের একজন)। তখন রাত প্রায় দশটা। ওরা সবাই সাপ্তাহিক বিচিত্রার সব উজ্জ্বল নক্ষত্র। পিক আওয়ার আমাদের। তারই মধ্যে শুনলাম, ওরা “রাতের ঢাকা” নিয়ে একটা প্রচ্ছদ কাহিনী করার অভিযানে বেরিয়েছে। তখন আমার পাশের টেবিলেই বসা ছিলেন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী।

বাংলাবাজার পত্রিকার আমাদের সম্পাদনার ঘর। বাম পাশের খালি টেবিলটি সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর, এই ঘরেই আমরা আলাপ করি ‘রাতের ঢাকা’ সিরিজের

আশরাফ, আসিফরা বেরিয়ে যেতেই সম্পাদক সাহেব ডাকলেন ফজলুল বারীকে। তখন ঝামেলার কোনও রিপোর্ট করতে হলেই সম্পাদক সাহেব ডাকতেন বারীকে। উনি বারীকে ডেকেই বললেন, আজই রাতের ঢাকা নিয়ে একটা রিপোর্ট লিখতে হবে, যাবে কালকের পত্রিকায়। আমি বললাম, ‘মতি ভাই, এটা কি ঠিক হবে? ওদের আইডিয়াটা বেমালুম গাপ করে দেয়া বোধহয় ঠিক হবেনা।’ উনি কিছুতেই শুনলেন না। ওই দিন অল্প সময়ের মধ্যে জম্পেশ কোনও রিপোর্ট বানানো সম্ভবও ছিলনা। পরদিন কোনওরকম একটা রিপোর্ট বেরিয়ে গেল, “রাতের ঢাকা” শিরোনামেই। ফলে বিচিত্রার প্রচেষ্টাটা প্রায় মাঠেই মারা গেল। আশরাফ কায়সার মনে অনেক কষ্ট নিয়ে পরদিন আমাকে ফোন করে বলল, ‘হিফজুর ভাই, আমাদের আইডিয়াটা মেরেই দিলেন!’ আমার কোন উত্তর ছিলনা। কারণ, আমি নিজে সবসময়ই নিজের সৃষ্টিশীলতার উপরই ভরসা করে এসেছি। সেটা ভুলও হতে পারে, শুদ্ধও হতে পারে। অন্যের ধারণা বেমালুপ গাপ করে দেয়ার মধ্যে কোনও আনন্দ পাইনা। যাই হোক, “দেয়ার ইজ নাথিং আনফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়র” এখন এই প্রবাদটাতেই বিশ্বাস করতে হচ্ছে।

একটা বেবিট্যাক্সি নিয়ে ছুটে চলে রাতের ঢাকার গল্পশিকারীরা। ডানপাশের ছবিতে মিটফোর্ড হাসপাতালের বারান্দায় শহীদুল আজম ।

ঘোমটা যখন খুলেই ফেললাম পরদিন থেকে আমাদের একটা ভিন্ন রকম লড়াই শুরু হল। পত্রিকার কাজ শেষ হবার পর আমরা বেশ ক’জন বেরিয়ে পড়তাম রাতের ঢাকার গল্প খোঁজার জন্য। আমাদের টিমের নিয়মিত সদস্যরা ছিলেন আমি ছাড়াও, ফজলুল বারী, কাওসার মাহমুদ, শাকুর মজিদ ও প্রভাষ আমিন। আর মাঝে মধ্যে যোগ দিত শহিদুল আজম, মোল্লাহ আমজাদ, জুলফিকার মানিক, জাহিদ নেওয়াজ প্রমুখ।

‘রাতের ঢাকা’র গল্পের খোঁজে।

প্রথম দিনের রিপোর্টটা ঠিকমত না হওয়ায় দ্বিতীয় দিন আমরা বড় একটা দল নিয়ে মরিয়া হয়ে মাঠে নামলাম রাত দুটোর দিকে। আমরা একটা দল গেলাম বায়তুল মোকাররমের দিকে। আমার সঙ্গে ছিল শাকুর মজিদ। শাকুরের মাথায় ঢুকল, রাতের ভাসমান মহিলাদের নিয়ে একটা স্টোরি তৈরী করতে। ও এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করতে লাগল, কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলনা। কারণ, ওই মহিলারাও ক্লান্ত হয়ে ঘুমোবার চেষ্টা করছিল। আর প্রায় বালক শাকুরকে (শাকুর তখন বুয়েটের ছাত্র) ওরা খুব একটা পাত্তাও দিচ্ছিল না। শাকুর হতাশ। আমি তখন একটা ওয়ালের উপর বসে সামনে জমায়েত কিছু রিকশা-ভ্যান চালকের দিকে দেখছিলাম। তাদের কেউ কেউ তাস খেলছিল, আবার কেউ কেউ দলে মিলে আড্ডা মারছিল। আমার তখন মনে হল, নাঃ আজকের অভিযানটাও মাটি হতে যাচ্ছে বোধহয়!
হঠাৎই ওই ভিড়ের মধ্যে একটা চশমার ঝিলিক দেখতে পেলাম। আমার দৃষ্টি দেখে চশমাধারী লুকোবার চেষ্টা করছিল। আমি চটজলদি শাকুরকে ডাকলাম। ও তখন বেশ দূরে, অনেক অন্ধকারের মধ্যে তার অভিযান চালাবার চেষ্টা করছে। আমার ডাকের গুরুত্ব অনুভব করে প্রায় ছুটেই এল। আমি ওকে বললাম ওই চশমাধারীকে ধরতে। কারণ, ওই দঙ্গলের মধ্যে একজন চশমাধারীকে কিছুতেই আশা করতে পারিনি আমি। চশমাধারী শাকুরকে দেখে আরও লুকোবার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু, শাকুর আর আমি দুজনেই নাছোড়বান্দা। ভিড়ের মধ্য থেকে ধরে এনে দেখি, একটা প্রায় বাচ্চা ছেলে, পরনে নোংরা হলেও বেশ দামি কাপড়। পা খালি। প্রথমে জিজ্ঞেস করলাম ওই লোকগুলোকে, যাদের মধ্যে ছেলেটা লুকোবার চেষ্টা করছিল। ওরা জানাল, ছেলেটাকে ওরা চেনেনা। ছেলেটাও ওদের কিছু বলছেনা। দু’দিন ধরে সে ওদের সঙ্গেই আছে। এবার ধরলাম ছেলেটাকে। ওকে অবশ্য আমরা সাংবাদিক পরিচয় দেয়ায় একটু স্বস্তি বোধ করছিল।
এবার শুনলাম ওর কথা। স্কুলের পরীক্ষায় খুব খারাপ করায় সে তার বাবার ভয়ে স্কুল তেকে আর বাসায় ফেরেনি। এক দিন মসজিদে কাটিয়ে এই ভিড়ে এসে জমে গেছে। ওর উদ্দেশ্য ছিল, কোনওরকমে চট্টগ্রাম চলে যাওয়া। সেখানে কেন? জানাল, ওর খালার বাসায় যেত। ওর খালা ওকে বেশ আদর করেন। কিভাবে যাবে, ভাড়া লাগবে তো! সে ভেবেছিল, বন্ধু-বান্ধব কারও কাছ থেকে ধার করে চলে যাবে কোনওরকমে। কিন্তু, ধরা পড়ে যাবার ভয়ে সে ওটাও করতে পারেনি, কারণ সে বন্ধু-বান্ধবদেরও বিশ্বাস করতে পারছিলনা।
তাহলে, এই ক’দিন চলল কি করে? পায়ে জুতো নেই কেন? নির্বিকার রনি জানাল, মসজিদের বাইরে রেখে সে মসজিদে ঘুমোতে গিয়েছিল, তখন জুতোটা গয়েব হয়ে গেছে। তারপর, এই ক’দিন খাওয়া-দাওয়ার কি হল? দামি কলমটা বিক্রি করে আগের দিন বার্গার খেয়েছিল। তারপর থেকে এই রিক্সা-ভ্যান ওয়ালারাই একটু আধটু খাবার দিয়ে যাচ্ছে। এই করেই চলছে নিষ্পাপ রনির জীবন। যে জীবনের কাঠিন্য তখনও বোঝার বয়স পায়নি। তখন রনি বোধহয় ক্লাস এইটে পড়ছিল, যতটুকু মনে পড়ে।
এরই মধ্যে সে দেখেছে, তার আত্মীয়-স্বজন ওকে খুঁজছিল, এই এলাকায়। আমরা ওর বাসার ঠিকানা জানতে চাইলে, সে প্রথমে বলতে চাইল না। রনি ভয় পাচ্ছিল, ওর বাবা ওকে মেরেই ফেলবে। ওর মা-বাবার কষ্টের কথা অনেক বোঝানোর পর শেষপর্যন্ত রনি ঠিকানা দিল। এরই মধ্যে ফজলুল বারী ওর বাহিনী নিয়ে ফেরত এসেছে। আমাদের তখন প্রচন্ড ক্ষুধা। দৈনিক বাংলার মোড়ে দেখলাম কয়েকটা ভ্যানে ডিম আর পরটা ভাজা হচ্ছে। তাই সই। বেতনহীন অথচ অতি আন্তরিক নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকদের ক্ষুধা পেটের জন্যে ওটাই ছিল মহার্ঘ্য। এরই মধ্যে বারী আমাদের সাফল্যের কথা জেনে গেছে। খুশীতে বাগবাগ বারী, শাকুর, আমরা সবাই। আমাদের সাথে সাথে রনিও পরটা-ডিমভাজা খেল। সেদির রাতে তো তার পেটেও কিছু জোটেনি।
খাওয়া শেষ করেই আমরা সবাই ছুটলাম, খিলগাঁওয়ের দিকে, রনির দেয়া ঠিকানা মত। পৌঁছে গেলাম রনিদের সেই সিরামিক ইঁটের বাড়ির সামনে। তারপরের ঘটনা তো আগেই বলে ফেলেছি।

সেন্টার টেবিলে মাথা রেখে কাঁদছেন রনির মা-বাবা। পেছনে বাঁ দিকে জাহিদ নেওয়াজ এবং একেবারে ডানদিকে জুলফিকার মানিক
শেষ হয়েও হলনা শেষ….

অনেক বছর পরের কথা। তখন আমি অস্ট্রেলীয় দূতাবাসের ডাকসাঁইটে কর্মকর্তা। কাজে বেশ ব্যস্ত। এমন সময় রিসেপশন থেকে ললি জানাল বিএএসএফ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমার সাথে কথা বলতে চান। আমি ভেবেই পেলাম না, বিএএসএফ এর সাথে তো আমার কাজের কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে? তবুও বললাম, দিন।
লাইনে এসেই ভদ্রলোক বললেন, হিফজুর সাহেব চিনতে পারছেন! আমি কাশেম। চিনতে পারছিলাম না। তখন বললেন, আমি রনির বাবা। আপনারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আপনারা ভুললে কি হবে, আমি তো ভুলতে পারিনা, ওই সময়ের কথা! বাকিদের তো খুঁজে পাচ্ছিনা, তবে, আপনাকে খুঁজে পেয়েছি পত্রিকায় অস্ট্রেলীয় পার্লামেন্টারি দলের সঙ্গে আপনার ছবি দেখে।
এক লহমায় মনে পড়ে গেল সেই রনি আর তার বাবা কাশেম সাহেব এবং পুরো পরিবারের কথা, তার মা’র অঝোর কান্নার কথা। কাশেম সাহেবের ফোন পেয়ে খুব ভালো লাগল। জিজ্ঞেস কললাম, রনি কি করছে? আর মারেননি তো ওকে? না, না করে উঠলেন কাশেম সাহেব। জানালেন, রনি এখন সিএ পড়ছে। আর কাশেম সাহেব হয়ে গেছেন বিএএসএফ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। অনেক ভালো লাগা ছড়িয়ে পড়ল, মনের ভেতর।
কাশেম সাহেব একদিন আমাদের দলের সবাইকে ধরে নিয়ে ওঁর বাসায় দাওয়াত খেতে অনুরোধ জানালেন। আমি জানালাম, সবাই তো ব্যস্ত নিজ নিজ পেশায়। সবাইকে একত্র করা মুশকিল হবে। তারপরও রনির বাবা বললেন, আমাদের পরিবারের সবাই আপনাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। আমাদের দোয়া আপনাদের সাথে আছে।
রাতের ঢাকা’র একদিনের গল্প আপাতত ফুরোলো। কারণ রাতের ঢাকা বাংলাবাজার পত্রিকাকে অনেকদিনই মাতিয়ে রেখেছিল, যেমনটা মাতিয়ে রেখেছিল কাওসার মাহমুদের “থানার চালচ্চিত্র”। সেটা আরেক দিন হতে পারে।

ছবি- শাকুর মজিদ
হিফজুর রহমান- লেখক, গবেষক এবং উন্নয়ন যোগাযোগ কর্মী।
মন্তব্য
Loading...