হুমায়ূন আহমেদ ঃ যে ছিলো এক মুগ্ধকর

যেমন করে লেখা হলো এই বই

২০১২ সালে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে, হুমায়ূন আহমেদ যখন গুরুতর অসুস্থ তখন একদিন সাজ্জাদ শরিফ (ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, প্রথম আলো) আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘৫-৭শ শব্দের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে একটা স্মৃতিগদ্য লিখে রাখেন। আমি জানাবো আপনাকে, কখন দিতে হবে’।

আমরা ইশারায় অনেক কথা বলি। আমি যা বঝার বুঝে নিলাম। আর ফোনে বললাম, ‘আমি লিখবো’।

এর মধ্যেই খারাপ খবর আসতে থাকে। ১৯ জুলাই রাতে টিভি স্ক্রলে তিনি যখন ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ তখনো আবার তাঁর ফোন।

‘দেরি কইরেন না, আপনি কাল পরশু লেখাটা দিয়ে দেন।’

এই কথার আধাঘন্টা পর স্ক্রল স্থির হয়ে গেলো । জানা গেলো তিনি আর নেই। সাজ্জাদ ভাই রাতেই আবার ফোন করেন। কাল বেলা দুইটার মধ্যে যেন লেখাটা পাঠিয়ে দেই। আলাদা পাতা হচ্ছে হুমায়ূন স্মরণে।

পরদিন শুক্রবার। আমার অফিস বন্ধ। আমি টাইপ করতে পারি না। খুব স্লো। আমার অফিসের লোকেরা টাইপ করে। কিন্তু আজ লেখা টাইপ করার লোক নাই। তাও অফিসে গেলাম। কোন মতে লিখলাম। এবং সাজ্জাদ শরিফের পরামর্শে আনিসুল হকের মেইলে লেখা পাঠালাম বিকাল ৩ টার মধ্যেই।


রাত ৮ টার দিকে সাজ্জাদ ভাইর ফোন। জানালেন, লেখাটা যথেষ্ট বড় হয়ে গেছে, ১৪০০ শব্দ।  তিনি বলেন – সংকট হচ্ছে লেখাটা ছোটও করা যাচ্ছে না। আমরা এই লেখা নিয়ে দুটো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটা আপনার জন্য খারাপ খবর, আরেকটা ভালো। খারাপটা আগে বলি – আপনার লেখা কাল স্মরণ সংখ্যায় যাচ্ছে না।
আমি একটু ঢোক গিলি। মুখে নরোম করে বলি – আচ্ছা।
সাজ্জাদ ভাই এবার বলেন, আরেকটা সিদ্ধান্ত হচ্ছে – পরশু যেহেতু তাঁর লাশ আসবে দেশে সেদিন পত্রিকার ফার্স্ট পেইজে এই লেখাটা আমরা লিড করবো। এটা আপনার জন্য ভালো খবর।


মনে বলি, সে কি! এ তো অনেক বেশি!! মুখে আবার নরোম গলায় বলি- আচ্ছা।

সাজ্জাদ ভাই আবার বলেন, আজ আমার ডে অফ, বাসা থেকে ফোনে সব ম্যানেজ করছি। কাল বিকাল ৪ টায় একটু অফিসে আসবেন। মতি ভাই আপনাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন।

এই প্রথম আমার প্রথম আলোর সম্পাদকের ঘরে যাওয়া, মতিউর রহমানের সাথে কথা বলা।
২২ জুলাই  প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ৪ কলাম জুড়ে লীড স্টোরি ছাপা হলো – নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে রয়েছো নয়নে নয়নে

শুধু এটা না, পরদিনও ছাপা হলো প্রথম পাতায়- ‘অচিন দেশে, অচিন কোন গাঁয়’ ।

তারপর অনেক অনেক কাহিনি। সেই আড্ডায়ই মতি ভাই আমাকে একটা বই লিখে প্রথমাতে দিতে বলেন। আমি লিখেও দেই।

ফ্লাপের জপ্ন্য লিখে দেন আখতার হুসেন । তিনি লিখেন – ” হুমায়ূন আহমেদ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে লেখালেখি, নাট্যনির্দেশনা ও চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যাপৃত ছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ৩২ বছর ধরে শাকুর মজিদ তাঁর সঙ্গে মিশেছেন। একটা পর্যায়ে মজিদ ছিলেন মূলত হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিজীবনের অন্তরঙ্গ অনুরাগী আর কৌতূহলী পর্যবেক্ষক। তাঁর একান্ত নিজস্ব অনুভূতিগুলোই এই বইতে প্রকাশ পেয়েছে। বড় মাপের কোনো মানুষের কথা বলতে গিয়ে তাঁদের কাছের মানুষেরা প্রায়শই অতিশয়োক্তি করে তাঁদের রচনাকে ভারাক্রান্ত করেন, সাধারণ পর্যায় থেকে তুলে তাঁকে মহামানবের স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শাকুর মজিদ এ ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এ বই কেবল স্মৃতিকথাই নয়, এর মধ্যে একজন সাধারণ লেখকের অসাধারণ হয়ে ওঠা এবং তাঁর বিবর্তনের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।”

২০১৩ র বইমেলায় বেরুলো বইটি। নাম ‘হুমায়ূন আহমেদঃযে ছিলো এক মুগ্ধকর” ।

এই নাম নিয়ে কত দরবার। ‘মুগ্ধকর’ শব্দটা এভাবে আগে ব্যবহার হয় নি। তাই বলে ব্যবহার যে ভুল হবে না তার রায় দিলেন আনিস স্যার। আমি খুশি, আমার দেয়া নামটি টিকে গেল।
বইয়ের প্রচ্ছদে ব্যাবহারের জন্য চাই হুমায়ূন আহমেদের একটা পোর্ট্রেট। এরজন্য তারা অনেক ছবি হাজির করলো শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরীর কাছে। তিনি যে পোর্ট্রেটটা পছন্দ করলেন তা ছিল আমার তোলা। চমতকার ক্যালিগ্রাফিতে বইয়ের নাম লিখে দিলেন তিনি।

এই বইটির একটা চমৎকার আলোচনা লিখেছিনে অশ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। 

শাকুর মজিদ ছবি তোলেন, তথ্যচিত্র-প্রামাণ্যচিত্র বানান, নাটক লেখেন; লেখার হাতটিও তাঁর ভালো। নিজের স্কুলজীবন অথবা কাছে-দূরের দেশ বেড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর লেখা বইগুলো পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে সেই অল্প বয়সেই আত্মার একটি মিল খুঁজে পেয়েছেন শাকুর—হুমায়ূনের ভেতরে যে একটি ভবঘুরে মানুষ ছিল, তাকে তিনি চিনতে পেরেছেন। এই ভবঘুরে মানুষটি হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টিশীল সত্তাটিকে যে হাত ধরে নানা জায়গায় নিয়ে যেত, মানুষের মনের অলিগলি থেকে নিয়ে বিশ্বসংসারের আনন্দ-বেদনার অলিন্দে-উঠানে, সে বিষয়টি শাকুর বুঝতে পেরেছিলেন। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুমায়ূন আহমেদকে তিনি দেখেছেন, জেনেছেন, তাঁর সৃষ্টিশীলতার উৎসগুলো চিহ্নিত করার প্রয়াস পেয়েছেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা টানাপোড়েনের সাক্ষী হয়েছেন, তাঁর মেজাজটি পড়তে চেষ্টা করেছেন এবং তাঁর ভেতরের ভবঘুরে মানুষটির সঙ্গে সখ্য গড়তে চেয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদও, যাকে বলে আশকারা দিয়েছেন শাকুরকে; তাঁর কাজের প্রতি এক ধরনের সস্নেহ সমর্থন দিয়ে গেছেন। আর যতই হুমায়ূনকে দেখেছেন শাকুর, ততই মুগ্ধ হয়েছেন। এই মুগ্ধতার প্রকাশ যে ছিল এক মুগ্ধকর। তবে মুগ্ধতাটা মোহাবিষ্টতার প্রদর্শনী হয়ে দাঁড়ায়নি, আবেগের বিহ্বলতার বিশেষণমণ্ডিত বর্ণনা হয়ে দাঁড়ায়নি, যে বিপদটি এ ধরনের আখ্যানকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে। শাকুর বরং উল্টো পথে হেঁটেছেন—মুগ্ধতা কেন, অথবা নয় কেন, কখন ও কোথা থেকে এর উৎপত্তি—এসব প্রশ্নের আদিঅন্ত খুঁজেছেন। সেই শঙ্খনীল কারাগার পড়ার অভিজ্ঞতায় যে হুমায়ূনকে তিনি চিনেছিলেন, তাঁকে যেন বাজিয়ে নিতে চেষ্টা করেছেন এর পরের ৩২ বছর এবং এটি করতে গিয়ে একজন লেখকের, নাট্যকারের, গান রচয়িতার, চিত্রনির্মাতা ও পরিচালকের, চিত্রকরের তিন দশকের পথ পরিক্রমা, তাঁর হুমায়ূন আহমেদ হয়ে ওঠার একটি সংবেদী ধারা বিবরণী দিয়েছেন। শাকুরের বর্ণনায় যে হুমায়ূনকে আমরা পাই, তিনি এক আশ্চর্য প্রতিভার নাম। একবার তাঁকে নিয়ে একটা বিতর্ক শুরু হয়েছিল, যার বিষয়বস্তু ছিল, তিনি জনপ্রিয় লেখক বটে, কিন্তু মহৎ লেখক নন ইত্যাদি। আমার কাছে এই বিতর্ক অর্থহীন মনে হয়েছে। আমি দেখেছি, অসংখ্য তরুণ-তরুণী তাঁর বই পড়ে চোখে একটা নামহীন কষ্ট, অথবা ঘোর অথবা স্বপ্ন নিয়ে ঘুমোতে গেছে, তাঁর চরিত্রদের সঙ্গে হেসেছে-কেঁদেছে, তাদের সঙ্গে রাতের বৃষ্টিতে ভিজেছে, ভরা জ্যোৎস্নায় পথে নেমে গেছে। তাঁদের বোধ অনুভূতিগুলোকে নিজের অধিকারে এনে হুমায়ূন তাদের তাঁর গল্পের সহযাত্রী করে নিয়েছেন। এই অর্জনটা সামান্য নয় এবং এটিকে মহৎ সাহিত্যের সংজ্ঞায় ফেলে বিচার করার কোনো প্রয়োজন নেই। শাকুর সেই তরুণদেরই একজন। তিনি লিখেছেন তাঁর কষ্ট-স্বপ্ন-ঘোরের কথা, জ্যোৎস্না-বৃষ্টিতে ভেজার কথা। তবে পার্থক্য এই, তিনি বর্ণনাটা করে গেছেন নির্মেদ গদ্যে, কোনো অতিশয়োক্তির আশ্রয় না নিয়ে। তিনি মুগ্ধ হয়েছেন, কিন্তু মুগ্ধতার একটা ইতিহাসও লিখে গেছেন। যে ছিল এক মুগ্ধকর—এর নির্মাণটি একটি মোজাইক-চিত্রের মতো। ৩০-৩২ বছরের অনেক ঘটনা-অভিজ্ঞতা থেকে ২৩টি বেছে নিয়ে তিনি মোজাইক-চিত্রটি সাজিয়েছেন। কিন্তু তলে তলে সেগুলোর একটা যোগ আছে। এবং এই যোগটা সম্ভব হয়েছে প্রতিটি বর্ণনার কেন্দ্রে হুমায়ূন থাকার জন্য। এসব বর্ণনা তাঁর সঙ্গে শাকুরের কাটানো বিশেষ কোনো মুহূর্তের, দিনের, সময়ের, ঘটনার, আড্ডায়, ভ্রমণে, অনুষ্ঠানে অথবা বইয়ের মাধ্যমে তাঁর সন্নিকট হওয়ার। হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাকুর। তারও বিবরণ আছে। নীরদচন্দ্র চৌধুরী জানাচ্ছেন, ভালো বাঙালি বলতে যাদের বোঝায়, তারা আসলে আত্মভোলা। এ রকম এক আত্মভোলা মানুষের ছবি তুলেছেন শাকুর। ক্যামেরার ভাষায় বলতে গেলে, অনেকগুলো শটে, অনেকগুলো অ্যাঙ্গেলে, লেন্সের অদল-বদল করে, ফিল্টার লাগিয়ে অথবা না-লাগিয়ে তোলা ছবির একটি অ্যালবাম যেন সাজিয়েছেন শাকুর। এসব ছবিতে হুমায়ূন কখনো স্পষ্টভাবে, কখনো আলো-আঁধারিতে হাজির হয়েছেন। আলোকচিত্রী শাকুরকেও এই বইতে চেনা যাবে।

Read more: http://www.amarboi.com/2013/08/je-chilo-ek-mugdhokor-shakoor-majid.html

আর এর মাধ্যমে ‘প্রথমা’র মতো নাক উঁচু প্রকাশনী থেকে আমার বই বেরুনো শুরু হয়ে যায়। ২০১৩ সালে শাহবাগ থেকে বই মেলা পর্যন্ত কয়েক জায়গায় এই বইয়ের স্ট্যান্ড দেখে আমি আপ্লুত হয়েছি।

২০১৩ সালে শাহবাগ থেকে বইমেলা পর্যন্ত সড়কদ্বীপে এমন প্ল্যাকার্ড ছিলো

বইটি এখনো যে বিক্রির তালিকায় আছে, আমি দেখে অবাক। সম্ভবত এটি এর তৃতীয় সংস্করণ। আর একক বই হিসাবে এই বই থেকে সর্বোচ্চ সম্মানী পেয়েছি। প্রথমার সাথে এই নিয়ে সম্পর্কের সূচনা। প্রতি বছরই মতি ভাই কোন একটা সময় ফোন করবেন, নতুন লেখার খবর নিবেন, কোন বইটা দেয়া যায় আলাপ করবেন। এর পরে আরেকটা বই আমার ছেপেছে প্রথমা ২০১৬ সালে, ১০ সদর স্ট্রিটঃ রবীন্দ্রনাথের কলকাতা বইটি।

হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে একে একে আমার তিনখানা বই ছাপা হয়ে গেছে, তিন প্রকাশনী থেকে। এতে আমি খুব জুইত পাই না। মনে হয় আসলে আমি তো একটা গল্পই বলছি, তিন জায়গায়। একে এক করা দরকার।  কথাপ্রকাশকে রাজি করিয়েছি ফুল ফোর কালারে ঝক ঝকে প্রিন্টে হুমায়ূন ট্রিলজির  হুমায়ূননামা বের করে দিতে।  কাজও শেষ হয়ে গেছে । এখন শুধু ছাপা বাকি। যে কোন শুক্রবার শুভমুক্তি হবে এই ট্রিলজির।

হুমায়ূন আহমেদ তখন আমেরিকায়। আমার নতুন বই বেরুবে, সুলতানের শহর । আমি বইটি উৎসর্গ করে ডি এইচ এল এ পাঠিয়ে দেই আমেরিকায়, বইটির উতসর্গপত্রে লেখা ছিলো – একবার দাড়াও বন্ধু এতো দিনে পাইসি তোমার লাগ।

বইমেলা চলাকালে বাংলা নিউজে বলেছিলাম – “হুমায়ূন স্মৃতিচারণা ও বইটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শাকুর মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, “১৯৮৬ সালে প্রথম হুমায়ূন আহমেদের ইন্টারভিউ করি। তখন কেউ সেটা ছাপতে রাজি না-হওয়া এমনও একজন আছেন যিনি লেখক হিসেবে হুমায়ূনের জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির বিস্তার লাভের পর নিজেই হুমায়ূনের ইন্টারভিউ করে বই ছেপেছেন। ”

তিনি আরও বলেন, “হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমার জানাশোনা দীর্ঘ ৩২ বছরের। এ দীর্ঘ সময়ে তিনটি পর্যায়ের মধ্যে আমরা ছিলাম। একসময় যিনি দূর আকাশের তারার মতো ছিলেন, ক্রমান্বয়ে তিনি আমার আর দশজনের মতো একজন। এবং একটা সময় তিনি ছিলেন আমার গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে হেঁটে যাওয়া এক সহযাত্রী। বইটিতে মূলত এই তিনটি সময়পর্যায়ে তাকে যখন যেভাবে দেখেছি, সেই দেখা ও দেখার বিবর্তনগুলো নিয়ে লিখেছি। ”

বইটি নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা আছে, সেটা আলাদা জায়গায় দেয়া আছে। কিন্তু আমার কাছে একদম অপরিচিত পাঠকের মতামত বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় বিবেচনায় কয়েকটি এখানে দেয়া হলো ঃ

১। Suman Das (goodreads)

শিল্পীদের মানবিক সত্ত্বা ভিন্ন ধরণের। ফলে তার আশেপাশে যারা থাকেন, তাদের পক্ষে এদের সামলাতে একটু হিমসিমই খেতে হয়। হুমায়ুন আহমেদ সম্ভবত এদের মধ্যে অনেক বেশি unexpected. সত্য-মিথ্যার প্রভেদ এবং খামখেয়ালি ব্যবহার/আচরণের জটিলতা থেকে আসল মানুষটাকে বের করা দুরুহ। শাকুর মজিদ সেই চেষ্টাই করেছেন। তবে তার চোখ দিয়ে হুমায়ুন আহমেদকে সম্পূর্ণ বিশ্লেষন না করাই ভাল। তিনি এক পর্যায়ের মানুষটিকে দেখেছেন। এটা সম্ভবত তিনিও জানেন। কিন্তু হুমায়ুন প্রেমী/বিদ্বেষী হিসাবে সেটা আমাদের মনে থাকলে বেশি আপ্লুত/বিচলিত হতে হবে না। 

 

 

মন্তব্য
Loading...