২০০৪ সালে শান্তিনিকেতন বেড়াতে গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে। সাথে ছিলো ভিডিও ক্যামেরা। আমরা দুই রাত ছিলাম সেখানে আর আধিকারিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে, এক দিনের ফী দিয়ে দুই দিনে দুই বেলা শ্যুট করে যে ফুটেজ নিয়েছিলাম, তা দিয়ে একটা ২০ মিনিটের ট্র্যাভেল ডকু বানিয়ে ফেলি ঢাকা এসে এবং তা দেখাতে নিয়ে যাই চ্যানেল আই তে । প্রথমে হাসান দেখে, বলে এটা আমরা সামনের ২২ শ্রাবণ চালাই দিতে পারি, তুমি সাগর ভাইরে একটু দেখাও, তিনি আছেন অফিসে। আমি দোতালায় যেয়ে সাগর ভাইর সাথে কথা বলতে বলতে বুঝে গেলাম, ৫ তলা থেকে দোতালায় নামতে নামতে সাগর ভাই আর ইবনে হাসান খানের কথা হয়ে গেছে। আমি ল্যাপটপ ওপেন করি, সাগর ভাইকে বলি, আপনাকে দেখাতে নিয়ে এসেছি, দেখে যদি পছন্দ হয়, তবে নিবেন।
তিনি বেল টেপেন। ম্যানেজার হেলাল সাহেব আসেন। হেলাল সাহেবকে বলেন, শাকুরকে ৫০হাজার টাকা দাও। আর কাল সে ক্যাসেট দিয়ে যাবে, এটা ২২শে শ্রাবণ যাবে, বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র হিসাবে, পিক টাইমে।
আমি ঠোঙ্গা ভর্তি টাকা নিয়ে চলে আসি।
এর মধ্যে চ্যানেল আই এ খবর চালু করে দেয় যে শান্তি নিকেতনের উপর ডকুমেন্টারি যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে। এর আগে এ জায়গাটি নিয়ে কেউ প্রামাণ্যচিত্র বানানর খবর পাই নি। আমি এটা ভ্রমণচিত্র হিসাবেই বানিয়েছিলাম । কয়েকদিন পর ডেইলি স্টার আমাকে ডাকে এ বিষয়ে ইন্টারভিউ দিতে (লিংক পেয়ে গেলাম । পুরা লেখাটাও উঠিয়ে দিলাম নীচে)
|
২০০৫ সালের ২২ শ্রাবণ এটা প্রচার হয়। এটা ছিলো কোন টেলিভিশনে প্রচার হওয়া আমার প্রথম কোন ট্যাভেল ডকুমেন্টারি। এ বছরই আরটিভির খ ম হারুনের সাথে আমার চুক্তি হয়, পৃথিবির পথে পথে নামে ধারাবাহিক প্রামান্যচিত্র প্রচার হতে থাকে আর টি ভির সূচনাকাল থেকেই। সেই শুরু।
প্রদর্শিত ক্লিপটি ২০১৬ সালে৪ ৫ আগস্ট তারিখে চ্যানেল আই তে পুণপ্রচারিত অবস্থায় নেয়া।
আরেকটা কথা। এই সফরের বর্ণনা ইবনকে নিয়ে নির্মিত ‘মাই সিক্স ইয়ার্স’ নামক প্রামাণ্যচিত্রেও ব্যবহার হয়েছে।
আরেকটা কথা – মূল প্রামাণ্যচিত্র ছিলো বাংলায়, নাম – বোলপুরে রবীন্দ্রনাথ। এতে কন্ঠ দিয়েছিলেন – থিয়েটার কর্মি রিয়াজ মাহমুদ
প্রচারের কয়েকমাস পরে এটা ইংরেজিতে অনুবাদ করি। এতে কন্ঠ দেন সংবাদ পাঠিকা সঙ্গিতা আহমেদ। ইংরেজি ভার্সনটা আজোবদি কোথাও প্রচার হয় নাই। এর মিউজিক ট্র্যাকের কপিরাইট আমার না থাকার কারনে ইউ টিউবও তা গ্রহণ করে না। তাই ফেইসবুক পেইজে দিয়ে রাখলাম, his footprints